Skip to main content

Posts

Showing posts with the label লেখা লেখি

পিরোজপুর স্মৃতিচারণ পর্ব ১ : তারেক রানা চৌধুরী

লিখেছেন : তারেক রানা চৌধুরী   ছবিটি দেখে মুহূর্তেই ৩০/৩২ বছর আগের পিরোজপুরে চলে গেলাম। ফজলুল হক সেন্টু মামা ( সাবেক কমান্ডার, পিরোজপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ) তার ফেসবুকে ছবিটি দিয়েছেন ( সাদা টিশার্ট)।  একদম ডানে এমদাদ ভাই। অনেকটা শৌখিন টাইপের মানুষ ছিলেন। গান গাইতেন। একটা মটর সাইকেল চালিয়ে শহরে নীরবে ঘুরে বেড়াতেন। তার ভাই ছিলেন জনাব আব্দুর রোউফ। বলিউড ফিল্মের আজকের ভাইজান সালমান খান Dabangg   বা আশির দশকের দাপুটে পুলিশ অফিসার ( অভিনয়ে) ররজনীকান্ত থেকে কোন অংশেই পিরোজপুরের সেই সময়ের পুলিশ সুপার জনাব আব্দুর রোউফ কে কমিয়ে বলা যাবে না।স্মার্টনেস এবং অপরাধ দমনে পিরোজপুরের প্রাক্তন পুলিশ সুপার আব্দুর রৌউফ সাহেব কে এখনো অনেকে স্মরণে রেখেছেন। আমরা পিরোজপুরের সেই কিশোর প্রজন্ম, যারা শহরের সিনিয়র ( রফিক আহমেদ রুস্তম মামা) ,  যুবা তরুনদের সাথে সরকারি স্কুল মাঠে ক্রিকেট খেলেছি, পক্ষে বা বিপক্ষে পেয়েছি এস পি আব্দুর রৌউফ, থানার তরুন ওসি তুষার ভাইকে।সদর থানার ওসি তুষার ভাই ও শহরে বেশ জনপ্রিয় ছিলেন তার সুন্দর ব্যাবহারের জন্য। ১৯৯২/৯৩ সালের দিকে পিরোজপুরের প্রাক্তন এস পি রৌফ...

শালা বাবুর কান্ড : ফয়সাল প্রিন্স

লিখেছেন : ফয়সাল প্রিন্স আমার শ্বশুরের ১০ সন্তান। আমার স্ত্রী নবম। আমার কোন শালী নেই। আছে শুধু একজন শালা বাবু (স্ত্রীর ছোট ভাই)। শালা বাবু আজ দুপুরে অপরিচিত নাম্বার দিয়ে ফোন করে বলে - প্রথম আলোর হিসাব বিভাগ থেকে বলছি। আপনার ঈদের বোনাস কেটে রাখা হয়েছে। কেন? সে বলল চিঠি পেয়ে যাবেন। তবে শালা বাবু ভুল করে আমাকে প্রিন্স সাহেব বলেছে। প্রথম আলো কর্তৃপক্ষ আমাকে ফয়সাল নামে ডাকেন। আমার একটু সন্দেহ হলো। বোনাস বেতন পেয়েছি এক সপ্তাহ আগে। কাটার কথা বলে কি? আর প্রিন্স নামে ডাকার তো কথা নয়। মুঠোফোন নাম্বারটা ছোট ভাই সিজনকে দিয়ে প্রযুক্তির সহায়তা নিতে বললাম। কিছুক্ষণ পর সিজন বলে ভাই ‘তুহিন’ নাম আসে। আমার আর বুঝতে বাকি রইল না-এটা শালা বাবুরই কাজ। আমার শালা বাবু চমৎকার মানুষ। কথা কম বলে। কারো আগেপিছে নেই। তাঁর অসাধারণ ব্যক্তিত্ব আমাকে মুগ্ধ করে। আর তুহিনের বউ চুমকির কথা না বললেই নয়। ভালো মনের একজন মানুষ। ঢাকায় ওদের ক্যান্টনমেন্টে বাসায় গেলে চুমকি কত কিছু যে খাওয়ায়, তা বলে শেষ করা যাবে না। রুটি পিঠা, নারকেলের ঝোল থেকে শুরু করে নিজের হাতের তৈরি কেক। চুমকির হাতের তৈরি কেক এর স্বাদ একবার খেলে সারা জীবন মনে থা...

প্রদর্শনী-২১

লিখেছেন: আজিজুল হাকিম আরজু সুস্থ জাতি পেতে চাও যদি মেধায় বিশ্বে সেরা, সম্ভব নয় কোনোটিই, ভাই প্রাণিজ পুষ্টি ছাড়া! সঠিক মাপে প্রাণিজ পুষ্টি নবজাতক পেলে, বেড়ে উঠবে আগামীর জাতি শক্তি, বুদ্ধি মিলে! ২৫০ মি.লি. দুধ খেতে হয় মাসের প্রতিটি দিনে, বছরে চাই ১০৪টি ডিম সবাই রাখবেন মনে। ১২০গ্রাম মাংস চাই প্রতিদিনের খাদ্যে, মনে রেখে মেনে চলবেন বলি গদ্যে আর পদ্যে! প্রাণিজাত খাদ্য অনেক খেতে স্বাদ ভারী, এবার তবে ছন্দে ছন্দে  তাদের গল্পই করি! রেস্তোরাঁগুলো বড় অসহায়  মাংস, ডিমের পণ্য ছাড়া, কাচ্চি, তেহারি, মুগলাই এসব খাদ্য তালিকায় সেরা! দুধ থেকে হয় নানান পণ্য পুষ্টিগুণে ভরা, অনুষ্ঠানগুলো অপূর্ণ রয় বুরহানি আর দই ছাড়া! ঘি আর মাখন - ভোজনরসিকের বড় প্রিয়, মিষ্টি, ছানা, মন্ডা খেতে  আমার কাছে অমিয়! দুগ্ধজাত পণ্য, স্বাদে অনন্য খাঁটি দুধের গুণে, স্বদেশে-বিদেশে মূল্য অনেক জ্ঞানী-গুণী জনে জানে! খামার করার বিকল্প নাই পুষ্টি চাহিদা মেটাতে, বেকারদের স্বাগত জানাই বেকারত্ব ঘোচাতে!   জৈব নিরাপত্তা মানতে হবে  খামারী ভাইদের বলি,  না মানলে সঠিকভাবে   আসলও যাবে চলি!  নিয়মিত টিকা দ...

এ আমার শহর- মানজুলুল হক

  স্রোতের বিষণ্ণতা নেই, অধিনিয়ম টলমলে মধুবালা,  শহুরে নদী ছুটে চলে তাহার লক্ষ্যে শ্রান্তিহীন চনচলা।  শুভ্র দিবাকর উঁকি মারে প্রভাতে ঘুমন্ত শহর রাঙিয়ে, শহরের প্রাণ, বলেশ্বর তখনও অবিরাম হাসে রাতের ক্লেশ লুকিয়ে। আসমানে জলধর গর্জন হাঁকিলে, স্বরিৎ মন তব কামিনী। তীর ছোঁয়ায় নৃত্যে মাতাল ঊর্মির দল, দেখিয়া ধন্য অবনী। মানুষের কোলাহলে মুখরিত পথ, জড়সড় রাস্তায় চেনা মুখ, ক্লান্ত পথিক খুঁজে পায় ছায়া, নিরব প্রকৃতির সুখ। শুঁকনো বাতাসে উড়ে প্রজাপতি, স্কুল বালিকারা হাসে, ব্যাগ কাঁধে অবুঝ বালক প্রেম স্বপ্নে ভাসে। স্কুল মাঠে খেলার সময় নবীন কিশোরের স্বপ্ন চোখে, সুশ্রীরা সব পড়া শেষে ফুসকা প্লেটে আকাশ দেখে। ইস্পা দেহে পাখি উড়ে আঁধার নামার আগে, মনটা তখন বেকুল থাকে চায়ের নেশা জাগে। সবুজ-শ্যমল বৃক্ষের মত মনুষ্যত্ব জীবিত,  এই শহরে মানুষ আছে মানুষের জন্য বিনীত। এ যেন শহর বন্ধুত্বের, বন্ধুহীনতার নেই ঠাই, সৎপ্রকৃতির নকশা হৃদয়ে, শ্যাম-কালো-সাদা বিভেদ নাই। অরন্যে অগ্রনী শব্দবহ, পুষ্প কোমল তরু ছাউনি, সাদৃশ্য নেই কোথাও, মুগ্ধ নয়নে ধন্য আমি কাটে দিন-রজনী।  দৃশ্য পটে আঁকা সবুজের সমারোহ প্রিয় মন নিব...

বাংলাদেশের স্থপতি

লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম  কেমন করে ভুলবো তোমায়  ওগো মহান নেতা,  বাংলাদেশের  স্থপতি তুমি  তুমিই জাতির পিতা।  নয় মাস দেশে যুদ্ধ শেষে  মহান বিজয় এলো,  তোমার আহ্বানে বাঙালি জাতি  স্বাধীন দেশটা পেলো।  তুমি ছিলে আলোর প্রতীক  উজ্জ্বল আলো রবি,  বাঙালি জাতির হৃদয়ে আজো  আঁকে তোমার ছবি।  আগষ্ট মাস এলেই পরে  হৃদয় শোকে ভাসে,  তোমার সেই রক্তাক্ত দেহ  চোখের সামনে আসে।

আপনাদের প্রয়োজন ছিলো সর্বত্রই সবখানে

লিখেছেন: শিরিনা আফরোজ পাথর পথে হেটেছেন কখনও? আমি হেটে এসেছি  বহুবার ঝরের রাত্রিতে শ্রেফ একা কখনও বেড়িয়েছেন ঘরের বাইরে আমি কিন্তুু বেড়িয়েছিলাম  পড়েওছিলাম কাল সাপের মুখে। ছোবাল দেয়ার আগে পদচিহ্ন এঁকে    রেখে এসেছি সেই সব সাপেদের বুকে।  সে সব কথা অনেক পুরানো  আজ কে না হয় আর বলি  বিশ্বাস করুন এই জনপদে বা আপনাদের  সাজানোমঞ্চে চাইনা বাহবা অথবা কোন হাততালি। এই আপনারাতো সেই আপনারাই যারা  স্বার্থের কারনে নিমিষেই দিতে পারেন  সবটাই জলান্জলি! আপনাদের কাছে  আজ আর নাই কোন কিছু  চাওয়ার, কিম্বা কোন কিছু পাওয়ার  তেমনি নাই কোন রাগ, অনুরাগ মান অভিমান আক্ষেপ, অভিযোগ অথবা অধিকার এখন শুধু দিনগুনছি চলে যাওয়ার।  আমি সত্যি বলছিআর অবাক হইনা  কারো মিথ্যা প্রতিশ্রতি শুনে।  কারন এই আমিইতো দেখেছি কি অসম্ভব মিথ্যে প্রতিশ্রতি আপনারা দিতে পারেন অনর্গল আমিতো জানি সীমাহীন ভন্ডামি প্রতারনা  আড়াল করে মানুষের মায়য় ফেলতে পারেন  চোখের জল।  ক্ষমতা, দম্ভ, আর অর্থ ছাড়া আপনাদের কাছে আরতো কিছুই নাই  কিন্তু আমার কাছে কবিতা আছে...

বৃদ্ধাশ্রমে

   লিখেছেন: শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল  আমি একা বুড়ো আছি পড়ে এক কোণে  সম্বল আমার এই ছোট্টু কুঠি বৃদ্ধাশ্রমে।  কতশত ব্যস্ত জীবন ছিল  আমার জীবনে   নিঃস্ব আমি একা আজি আছি বৃদ্ধ ভুবনে ।  অন্ধের চেয়ে করিয়াছি স্নেহ তারে  পিতামাতার ছিন্ন করে আজি তাহা  দূরদেশে।  কত ব্যস্তজন ছিলাম আমি জীবনের তরে  আজি  একা শুয়ে আছি বৃদ্ধাশ্রমের ঘরে।   পাইনাকো স্থান ঐ ছেলের কুঠিরে  জীবন একা পার করিব এই বৃদ্ধাশ্রমে।  হাসি অশ্রুময় জীবন আমার  চাইনা আর  কভু একা বাঁচিবার । এক কাপড়ে এক চাদরে  কত কষ্টে আছি এই  বৃদ্ধভুবনে । খাটিলাম মিছা তবে সংসারের তরে  দুঃখ পাই  ফলে আজি এই মনে । একা কোনে বসে ডাকি প্রভু তোমারে  আশিটা বছর কেটে গেল জীবন ভুবনে  বাঁচিবার চাইনা আর আশি'র পরে।  আর কি দেখিবো  কখনো খুকুর মুখখানি  যা আমার কাছে  জীবনের চেয়ে দামি  সুখে থেকো, ভালো থেকো খুকু তুমি  দেখে যেও মরন পরে আমার কবর ভূমি ।  

প্রত্যাশা

লিখেছেন: আজিজুল হাকিম আরজু  পৃথিবী আবার শান্ত হবে খোদার ইশারায়,  তার জন্যে হয়ে হন্যে প্রশাসন  পাহারায়।  মহান দায়িত্ব পালন শেষে মনে আসবে সুখ, আশায় আছি, বিধাতা মোদের- করবেন না বিমুখ।  মানুষের মুখে হাসি ফুটবে  শেখার পরে নীতি, মানুষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ ছিল এই ধরার প্রকৃতি।  বাতাস আবার হালকা হবে পানিতে কমবে দূষণ, বিশুদ্ধ বায়ুতে নিঃশ্বাস নিবো  স্বপ্ন করি পোষণ।  রয়েছে যত বন ও প্রাণী  ধরনীর সব বনে, উজাড় হয়েছে তার অনেকই মানুষের কারণে।  বাস্তুসংস্থান আজ অসহায় মানুষের কর্মকাণ্ডে, সুদে-আসলে শোধ হচ্ছে তা করোনা নামক দণ্ডে।  দণ্ডের পরে,সবার ঘরে আসবে জানি শান্তি, বিধাতা যেনো ক্ষমা করেন আমাদের সব ভ্রান্তি।

আব্বু

লিখেছেন: আরিফুল ইসলাম  আব্বু তুমি কেমন আছো?  রইলা পড়ে কই?  তুমি ছাড়া একলা আমি  কেমন করে রই?  ছোট্ট বেলা ডাকতে কাছে  বলতে কাছে আয়,  ভালোবাসা দিমু তোরে  স্নেহ দিমু গায়।  নিশি রাতে করতে সেবা  হতো যদি রোগ,  আল্লা আল্লা করতে সদা করতে তুমি শোক!  তুমি আমার বটবৃক্ষ  রইছি তোমার ছায়,  ছেড়ে গেলে আমায় ফেলে  কোন অজানা গাঁয়!  আল্লা তুমি ক্ষমা করো  করো তারে মাফ,  জান্নাত তুমি দাও গো তারে  পূণ্য করো পাপ।

সহস্র বছরের শিলালিপি

লিখেছেন: নাসরিন সিমি  সহস্র বছরের শিলালিপি থেকে একদিন  উঠে আসবে এই শহরে আমাদের ছিলো এক অগোছালো জীবনের দিনলিপি  আমরা দূরে দূরে থেকেও কাছাকাছি  খুব সঙ্গোপনে লুকিয়ে ছিলাম দীর্ঘশ্বাস তোমার পিঠের আঁচিলের দাগ আর ভুলে যাওয়া প্রেসক্রিপশন ছিলো মুখস্থ  সহস্র বছরের শিলালিপি থেকে একদিন  জেনে যাবে তোমার অব্যক্তের অভ্যাস  স্থির বিন্দুতে দাঁড়িয়ে ছিলাম এতটুকু  কুয়াশায় অস্পষ্ট প্রেমের অবগাহনে অবিচলিত রাষ্ট্রনায়কের ভুমিকায় ধৈর্য্য  হারাইনি দীর্ঘ হৃদয়ের মরুভূমি পাড়ি দিতে দিতে খুঁজেছি মনের গহীন কূপ  সহস্র বছরের শিলালিপি থেকে একদিন  প্রজন্ম থেকে প্রজন্ম তাদের থিসিসের  বিষয় বেছে নেবে হৃদয়ের অবহেলায়  কখনো ভালোবাসা সমুদ্রের গভীরতাকে  হার মানিয়ে নিতে যেতে পারে অথবা পদব্রেজেই উঠে যাব পামীর মালভূমি   শিরোনাম হবে কষ্টের দাম ভালোবাসা।

প্রত্যাশা

লিখেছেন: সুলতানা মারজান ডালিয়া বৃষ্টি পড়ার টাপুরটুপুর শব্দ ধ্বনির মতো তড়িৎ গতিতে তোমার আগমন আমার এ ছোট্ট জীবনে- তোমার হৃদয়ের রাজরানী করে বধু সাজালে মোরে চিরদিনের জন্য ধরে রাখবে পাশে বিনা সুতায় গেধেঁ দিলে মোদের প্রেমানুরাগের মালাখানি আত্মায় আর প্রাণে মিশে, হয়েছি দুজন দুজনের পরমাত্মা!  শিউলি ফুলের মতো যেন ঝরে যেতে পারি একই ডালের দু'টি ফুল হয়ে, বসন্তের কোকিলের ন্যায়; উড়ে যেতে পারি যেন একই সাথে শরতের কাশ বনের আন্দলিত বাতাসের ন্যায় প্রেমানুরাগ যেন  ঢেউ খেলে যায় জীবনের প্রতিটি দিন! এই হবে মোর ছোট্ট মনের মিনতি প্রত্যাশা যদি দাও তুমি!

শুধু আমাদের ঘর নেই

লিখেছেন: শেখ রফিকুল হক দোকান খোলা  টেলিভিশন চলছে উনুনে ফুটছে চায়ের পানি... মাদুরপেতে মধ্যবয়সী দুজন  রাজা মন্ত্রী ঘোড়ার চাল নিয়ে মগ্ন গভীর ধ্যানে চারদিকে উৎসুক দর্শক কারো মুখে মাস্ক নেই সামাজিক দূরত্ব নেই করোনার ভয় নেই আসলে কোন বিকার নেই! গরম চায়ের কাপ সিগারেট পুড়ছে ধোয়া উড়ছে গরম গরম ধোয়া উড়ে উড়ে ঘুরে ঘুরে মিলিয়ে যাচ্ছে বাতাসে করোনা মিশ্রিত বাতাসে... এ ষোড়শী চাঁদের  বুক ধড়ফড়ানি জোসনাভরা আকাশে... পায়ের উপর পা তুলে দোকানদার আছে বসে মুখে তার প্রশান্তির হাসি! করোনা দোহাই চলতো ন আর কে আমারে ঠেকায়? আমি হবই সর্বনাশী! সবই ঠিক আছে সবারই সব ঠিক আছে কিছুই বদলায়নি হয়নি কারো ঘরে চুরি... শুধু আমাদের ঘর নেই ঘরে ফেরার তাগিদ নেই আমরা যে প্রজাতন্ত্রের অনুগত কর্মচারী।

বন্ধু

    লিখেছেন: শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল  প্রিয়জন ,জীবনে দেখিবে কতজন তুমি হবে পর যদি  না করো আপন , আপন ব্যর্থতা আনবে তখন  যদি না হয় মনের মিলন। কতশত বন্ধু আসিবে সময় সময় জীবন মাঝারে , তারি মাঝে পাইবে তাহাকে জীবন ধন্য হইবে তোমা তাতে। দুর্বল তো সেই জনে  পাইনা কোথাও বন্ধু মনে , করিবে আপন আলাপ তাকে  সোনার স্বপ্ন গড়বে মনে।  জীবনে আসো হে বন্ধু,  মনে দেখিবো স্বপন তোমারি তরে  জীবন মাঝারে বন্ধু যদি পাও  তবে,  ভেবে নিও স্বর্গ পেয়েছ তাতে। তোমারি বন্ধু মন হতে  হবে সেইজনে যে জন  তোমারই সঙ্গী হবে জীবন যুদ্ধে   আসিবে স্বপন দেখিবো স্বপন জীবন  নিয়া মোরা বন্ধু তুমি ছাড়া  কি  বাচিবো একেলা?  

আমার প্রয়াণে

লিখেছেন: আজিজুল হাকিম আরজু বিধি,তোমার কাছে আর্জি জানাই করিও পূরণ, তওবা ছাড়া এই আমারে  দিওনা মরণ। পাক-পবিত্র বান্দা হয়ে করবো তোমায় স্মরণ,  নিষ্পাপ এক দাসকে তুমি করিও বরণ। ইঞ্জিলেতে জায়গা দিও ভুবন ছাড়ার পরে, জান্নাতেরই বাতাস দিও আমার কবরে। আমার সেজদা যেনো পায় গো খুঁজে  তোমারই চরণ। কেবলামুখী করে আমায়  রেখে যাবে সবে, সব হিসাব মিটে যাবে মায়ার এই ভবে। সহজ করে দিও আমার অন্ধকার জীবন। পোকামাকড় খেয়ে যাবে সাধের এই দেহ, বুকফাঁটা আর্তনাদ আমার শোনবেনা তো কেহ। ভাবলেই সেই কথা আমার হিয়ায় হয় যে রক্তক্ষরণ।  পানাহ চাই বিধি'র কাছে সকল আজাব হতে, মনকিরনাকিরের  উত্তর যেনো  নিয়া যাই গো সাথে। সিন,দাল,সিন,লাম এর প্রবাহে করাইয়ো তৃষ্ণার নিবারণ।

স্বপনে মৃত্যু

লিখেছেন: শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল  আজ প্রান্ত রাতে ঘুমের ঘোরে  দেখিলাম এক স্বপন । মৃত্যু যেন আমায় ধরিল সবাই  শোকে কাতর, মসজিদ থেকে আনিল খাটওয়ালাটা  শত মানুষ কাঁদছে পরে , আমি শুধু একা । গোসল দিলো বরই পাতায়  ভাবছি যাব আমি কোথায় ? সাদা  কাফন পরে আমি  শুয়ে আমি উঠানে আছি , কত শত মানুষ আসলো  একেক  করে মোরে দেখলো , এবার মোরে হালকা করে উঠালো তাদের  কাঁধে , আশহাদু আল্লাহ বলতে বলতে চলিল তারা ওই পথের ধারে, কত শত মানুষ পিছে আমি একা  ভয়ে ভয়ে, ওই কাফনের ভিতরে ডরে। আসিল একক্ষণ  ইমাম আসিল মোয়াজ্জিম আসিল  মোরে সামনে সবার রাখিলো যেন  কান্দন সুরে বলছে আমারি কথা, ভাবিলাম এবার এরাই যাবে ওই কবরের মাঝে । আল্লাহু আকবার বলে এবার করিল মোরে ছাড়া , সালাম দিয়ে শেষ হলো জানাজা। ওমা ,এ কি ! কিছু যাচ্ছে ঐদিকে , কিছু যাচ্ছে আমায় লয়ে, ওই কবরের মাঝে , ভাবিলাম এবার সঙ্গী হবে ঐ দুঃখী দিনে । দুজনে মোরে রাখিলো কবরে  আমি অধম কাতর ভয়ে ওমা ! এবার দেখি দিচ্ছে মাটি  ভুলছে আমায় সবাই নাকি ? কত গহীন কবরে একলা  থাকিব নাকি একা ? করিম রহিম ভাই...

শেষ কোথায়?

লিখেছেন: মোজাম্মেল হক বিশ্বজুড়ে বইছে আজ মৃত্যু মিছিল বইছে করোনার কালো ছায়া, এই পৃথিবী বরই নিষ্ঠুর  নেই কারো প্রতি তার  মায়া। ভাবিনি কখনো এই ভুবনে দেখতে হবে এমনও দিন, মৃত্যু পথের যাত্রীগুলোকে কেউ করে না প্রদক্ষিণ। স্তব্ধ আজ সারা বিশ্ব, স্তব্ধ ইউরোপ, আমেরিকা। কেউ দেখেনি এই শতকে এত বড় বিভীষিকা । স্বজন  হারিয়ে কাতর কেউ, কাতর  কেউ মৃত্যু ভয়ে। বাড়ছে ক্রমে মৃতের সংখ্যা নতুন নতুন সূর্যদয়ে।  বিশ্ববাসী আজ কত অসহায়!  কে জানে এর শেষ কোথায়?  

অনন্ত পথের যাত্রী

লিখেছেন: সিরাজুল ইসলাম আমি আর মাহিম দুজনে বন্ধু,  আমরা অনন্ত কালের যাত্রী! দুজনের বন্ধুত্ব একই শরীরে রক্ত আর মাংসের মতো;একে অন্যের পরিপূরক!  আমাদের রক্তের রং লাল,ঠিক যেমনি উদীয়মান সূর্য আর অস্তমিত সূর্য লাল বর্ণ ধারণ করে! মাংসের কাঠামোতে ভিন্নতা থাকলেও,আসলে কেউ সহজে পার্থক্য নিরূপণ করতে সমর্থ হন না। মাহিমের  ভাবনা সৃষ্টির রহস্য নিয়ে,  "সে ভাবে আমাদের কেউ বিচ্ছিন্ন নয়,আমাদের লক্ষ্য এক,গতিপথ এক!" তার কথাগুলো চিন্তার রাজ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করে। সে আমাকে দেখা মাত্রই একটি কথা বলতে কখনো ভুলে যায় না।আর তা হলো- "এখানে কেউ আগে এসে শেষে যায়,কেউ বা শেষে এসে অসময়ে হারিয়ে যায়! এখানে শুধু ক্ষণিক ভাবনার সময় থাকে!" মাহিমের কথাগুলো হৃদয় ছুঁয়ে যায়। মাহিম কতইনা চিন্তাশীল! মাহিমের একটা অদ্ভুত রকমের সমস্যা আছে, সে কোন কথা মাথায় আসতেই যেভাবেই হোক  আমাকে জানাবেই! একদিন বিকাল বেলায় গ্রামীণ পথ ধরে হাটতে হাটতে বলে উঠল, "বন্ধু, একটা বিষয় ভেবে দেখেছিস? " আমি বললাম,"কোন বিষয়টার কথা বলছিস বন্ধু?" "আমাদের রসদ যোগানোর  কথা।আসলে এখনই সময় আসন্ন ঘন দূর্যোগে মাথা তুলে দাড়ানোর জন্...

স্বপ্নবিভ্রাট

লিখেছেন: রাশেদ রায়হান শুভ মাঝরাতে লাফিয়ে ঘুম থেকে উঠলো রাজু। সে স্বপ্নে দেখেছে দুধের ভেতরে নিমপাতার রস মিশিয়ে সেটা দিয়ে যদি আইসক্রিম বানিয়ে চেটে চেটে খাওয়া যায় তাহলে করোনা নামক ভাইরাসদের দেখতে পারবে সে, এমনকি কথাও বলতে পারবে তাদের সাথে।  রাজু সময় নষ্ট না করে তখনই বের হয়ে গেল। সবাই করোনার আতঙ্কে বের না হলেও করোনা নিয়ে কোনো ভয় নেই রাজুর। কারণ সে থানকুনি পাতা খেয়ে নিয়েছে অনেক আগেই। এছাড়া সে গোবর না খেলেও নিয়মিত নাকে নিয়ে গন্ধ শুকে দেখে।  নিমগাছ পেতে খুব বেশি কষ্ট হলো না তার। পাশের দুই বাসা পর মুন্নাদের বাসায়ই আছে নিমগাছ। তবে সমস্যা হলো সে গাছে উঠতে পারে না আর ডালগুলো সব নাগালের বাইরে।  আশেপাশে লম্বা কিছু না দেখলেও ভাঙা ইটের স্তুপ চোখে পড়লো তার। রাজু কোনোভাবেই দেরী করতে রাজি না। তাই ইট দিয়ে ঢিল দিতে থাকলো। প্রতিঢিলে দুইএকটা করে পাতা পড়ল যা কুড়িয়ে একসাথে করে রাখলো রাজু।  এর মধ্যেই একটি ঢিল গিয়ে পড়লো একদম মুন্নার ঘরের টিনের চালের উপর। মুন্না শব্দে ঘুম থেকে উঠে জানালা খুলে দেখলো কে যেন নিমগাছে ঢিল ছুড়ছে। মুন্না চোর ভেবে একটা বড় লাঠি নিল মারার জন্য। পেছন থেকে মারতে গিয়েই দে...

ছোটগল্প: ফেরার পরে

লিখেছেন: আশিক মাহমুদ রিয়াদ  ১. রান্নাঘর থেকে চেচাচ্ছেন রহিমা খাতুন। বারান্দায় বসে পত্রিকা পড়ছেন আসগর সাহেব।ঘরে বসে খাটের কোনে বসে পায়ে আলতা দিচ্ছিলো নীলু ।  শফিক বসে আছে বারান্দার টুলে,সকালের এক ফালি রোদ এসে পড়েছে তার পায়ের কাছে৷ এখন শীতকাল তাই রোদ ভালো লাগছে শফিকের।  রহিমা খাতুন চেচাচ্ছেন আর বাসন-কোসন নাড়াচাড়া করছেন। বাসন-কোসন এবং চেচামেচিতে বিরক্ত হচ্ছেন আসগর সাহেব। তিনি একটু পর পর পত্রিকার পাতা থেকে চোখ সরিয়ে রান্নাঘরের দিকে তাকাচ্ছেন।আবার পত্রিকা চোখ বোলাচ্ছেন।আসগর সাহেব শফিককে বলছে, 'তোর মামিকে চেচামিচি থামাতে বলতো।আসগর সাহেব আবার পত্রিকায় মন দিলেন। শফিক কৌতূহলী হয়ে বসে রইলো। এতক্ষণ তার মাথায় কোন চিন্তা ছিলো না, কিন্তু এখন নতুন চিন্তা উদয় হয়েছে। নতুন চিন্তা তার মাথায় ঢুকিয়ে দিয়েছে তার মামা। শফিক ভাবছে তার মামিকে চেচামিচি থামাতে বলবে কি না। শফিক একবার তার মামার দিকে এবং পরে রান্নাঘরের দিকে তাকাচ্ছে। তার মুখ জুড়ে রাজ্যের কৌতূহল।  আসগর সাহেব দারুন বিরক্ত হয়ে শফিককে ধমক দিলেন। ধমকে রান্নাঘর থেকে রহিমা খাতুনের চেচামিচি থেমে গেলো। শফিক আচমকা ধমক খেয়ে নির্বিকার হয়ে বসে...

ইডেন কলেজের আম

লিখেছেন : কে.এম-রাসেল এই ষোড়শী যৌবনবতী আমটি ইডেন কলেজের গাছ থেকে আশীর্বাদস্বরূপ সামনে পড়লো। আমটি সৌভাগ্যবান বটে; কতো সুন্দরীদের প্রতিনিয়ত দেখে দেখে শক্ত হয়েছে তার বাঁড়া, পেকেছে শরীর সে কথা শুধু সেই বলতে পারে! এমন ভাগ্য নিয়ে খুব কম আমই পৃথিবীতে জন্ম নিতে পারে। ধরা যাক আমটি সাবেক প্রেমিকার উত্তরসূরী। সে বলছিলো ইডেন কলেজের গাছের আম পেড়ে খাওয়াবে। কিন্তু তার কাছ থেকে ঘন ঘন আম খেতে চাই দেখে সে প্রেমে ব্রেকআপ করে নোয়াখালীর এক ছেলের সাথে বিমানে করে বিয়ে করে চলে গেছে। বহুদিন পরে আমের মাঝে সাবেক প্রেমিকার চেহারা ভেসে উঠেছে । এটা আমার কাছে একই সাথে সুখের এবং দুঃখের বিষয়।☺ স্মৃতিচারণ থাক। সালোয়ার কামিজ পড়ে পরীমনির যৌবন নিয়ে এক সুন্দরী প্রেমিকের হাত ধরে হাঁটতে ছিলো। আম পড়ার ঠাপ করে শব্দ পেয়ে সে পিছনে দেখলো এবং যথারীতি আমটি নিতে একচোট ছোটখাটো দৌড়ঝাঁপ দিলো। কিন্তু ইডেন কলেজের এই পথের  প্রিয়মুখ, সাবেক প্রেমিক পুরুষ কে. এম. রাসেল ভাই আমটির যৌবন ইতিমধ্যে পঞ্চাগুলির মধ্যে আবদ্ধ করে ফেলেছে। মেয়েটি পরাজয় মেনে ফিরে যাচ্ছিলো এমন মুহুর্তে তার প্রেমিক আমটি প্রেমিকাকে দেয়ার জন্য আবদার করলো। কে. এম. রাসেল তা...