লিখেছেন: আজিজুল হাকিম আরজু
সুস্থ জাতি পেতে চাও যদি
মেধায় বিশ্বে সেরা,
সম্ভব নয় কোনোটিই, ভাই
প্রাণিজ পুষ্টি ছাড়া!
সঠিক মাপে প্রাণিজ পুষ্টি
নবজাতক পেলে,
বেড়ে উঠবে আগামীর জাতি
শক্তি, বুদ্ধি মিলে!
২৫০ মি.লি. দুধ খেতে হয়
মাসের প্রতিটি দিনে,
বছরে চাই ১০৪টি ডিম
সবাই রাখবেন মনে।
১২০গ্রাম মাংস চাই
প্রতিদিনের খাদ্যে,
মনে রেখে মেনে চলবেন
বলি গদ্যে আর পদ্যে!
প্রাণিজাত খাদ্য অনেক
খেতে স্বাদ ভারী,
এবার তবে ছন্দে ছন্দে
তাদের গল্পই করি!
রেস্তোরাঁগুলো বড় অসহায়
মাংস, ডিমের পণ্য ছাড়া,
কাচ্চি, তেহারি, মুগলাই এসব
খাদ্য তালিকায় সেরা!
দুধ থেকে হয় নানান পণ্য
পুষ্টিগুণে ভরা,
অনুষ্ঠানগুলো অপূর্ণ রয়
বুরহানি আর দই ছাড়া!
ঘি আর মাখন -
ভোজনরসিকের বড় প্রিয়,
মিষ্টি, ছানা, মন্ডা খেতে
আমার কাছে অমিয়!
দুগ্ধজাত পণ্য, স্বাদে অনন্য
খাঁটি দুধের গুণে,
স্বদেশে-বিদেশে মূল্য অনেক
জ্ঞানী-গুণী জনে জানে!
খামার করার বিকল্প নাই
পুষ্টি চাহিদা মেটাতে,
বেকারদের স্বাগত জানাই
বেকারত্ব ঘোচাতে!
জৈব নিরাপত্তা মানতে হবে
খামারী ভাইদের বলি,
না মানলে সঠিকভাবে
আসলও যাবে চলি!
নিয়মিত টিকা দিতে হয়
রোগপ্রতিরোধের জন্যে,
না দিলে রোগ ছড়াবে
অযথাই হবে হন্যে!
বাড়ির পাশে ঘাসের চাষ
যদি করে বারোমাসই,
সুস্থ-সবল গরু পাবে
আমার দেশের চাষি।
দুধ পাবে গাভীর বাটে
পকেটে আসবে টাকা,
ঘুরে যাবে আমার দেশের-
অর্থনীতির চাকা!
দূর হবে গাভী-বাছুরের
ভিটামিন-এর অভাব,
কমে যাবে অন্ধত্ব আর
নানান রোগের প্রভাব।
এসবকিছু জানাতে হয়
সমাবেশের প্রয়োজন,
প্রাণিসম্পদ করলো তাই
বর্ণাঢ্য প্রদর্শনীর আয়োজন!
দেশবাসী জানলো ভালো
খামার করণের গুরুত্ব,
বেড়ে গেলো খামারিদের
খামারজ্ঞানের পুরুত্ব!
Comments
Post a Comment