লিখেছেন: শিরিনা আফরোজ
পাথর পথে হেটেছেন কখনও?
আমি হেটে এসেছি বহুবার
ঝরের রাত্রিতে শ্রেফ একা কখনও
বেড়িয়েছেন ঘরের বাইরে
আমি কিন্তুু বেড়িয়েছিলাম
পড়েওছিলাম কাল সাপের মুখে।
ছোবাল দেয়ার আগে পদচিহ্ন এঁকে
রেখে এসেছি সেই সব সাপেদের বুকে।
সে সব কথা অনেক পুরানো
আজ কে না হয় আর বলি
বিশ্বাস করুন এই জনপদে বা আপনাদের
সাজানোমঞ্চে চাইনা বাহবা অথবা কোন হাততালি।
এই আপনারাতো সেই আপনারাই যারা
স্বার্থের কারনে নিমিষেই দিতে পারেন
সবটাই জলান্জলি!
আপনাদের কাছে আজ আর নাই কোন কিছু
চাওয়ার, কিম্বা কোন কিছু পাওয়ার
তেমনি নাই কোন রাগ, অনুরাগ মান অভিমান
আক্ষেপ, অভিযোগ অথবা অধিকার
এখন শুধু দিনগুনছি চলে যাওয়ার।
আমি সত্যি বলছিআর অবাক হইনা
কারো মিথ্যা প্রতিশ্রতি শুনে।
কারন এই আমিইতো
দেখেছি কি অসম্ভব মিথ্যে প্রতিশ্রতি
আপনারা দিতে পারেন অনর্গল
আমিতো জানি সীমাহীন ভন্ডামি প্রতারনা
আড়াল করে মানুষের মায়য় ফেলতে পারেন
চোখের জল।
ক্ষমতা, দম্ভ, আর অর্থ ছাড়া আপনাদের কাছে আরতো কিছুই নাই
কিন্তু আমার কাছে কবিতা আছে
আমি তাই লিখে যাই।
আপনারা বাহান্ন বোঝেন না,
একত্তর বোঝেন না, আপনার প্রজন্ম
কবিতা গান গদ্য পদ্য কিছুই বোঝেনা
মিলায় মাদকের তালে তাল
অথচ আপনারাই নাকি দেশ প্রেমিক আজ
পুরো দস্তুর খাঁটি বাঙাল।
দয়াকরে আমাকে ভুল বুঝবেন না
বহুদিন আমি আগুন পথে
হেটে এসেছি একা একা!
কৃষকের মাঠে বিষন্ন কান্না দেখেছি
বহু কষ্টে শ্রমে উৎপাদিত ফসল
বিপন্ন হতে দেখেছি
মাদক সেবী ছেলের হাতে
প্রিয় পিতাকে খুন হতে দেখেছি
বিদ্যাপিঠে তরুন তরুনীকে দেখেছি বসিয়েছে
গাজার আসর অথচ এর কোথাও আপনারা ছিলেন না, পাইনি কারোর দেখা
আমি আরও অনেক কিছু দেখেছি
যা বলতে চাইনা জনে জনে
আমি শুধু বলতে চাই
আপনাদের প্রয়োজন
ছিলো বাহান্ন একাত্তরের মত সর্বত্র ই সবখানে।
Comments
Post a Comment