Skip to main content

স্বপনে মৃত্যু


লিখেছেন: শেখ সায়মন পারভেজ হিমেল 

আজ প্রান্ত রাতে ঘুমের ঘোরে 
দেখিলাম এক স্বপন ।

মৃত্যু যেন আমায় ধরিল
সবাই  শোকে কাতর,
মসজিদ থেকে আনিল খাটওয়ালাটা 
শত মানুষ কাঁদছে পরে ,
আমি শুধু একা ।

গোসল দিলো বরই পাতায় 
ভাবছি যাব আমি কোথায় ?
সাদা  কাফন পরে আমি 
শুয়ে আমি উঠানে আছি ,

কত শত মানুষ আসলো 
একেক  করে মোরে দেখলো ,
এবার মোরে হালকা করে
উঠালো তাদের  কাঁধে ,
আশহাদু আল্লাহ বলতে বলতে
চলিল তারা ওই পথের ধারে,

কত শত মানুষ পিছে
আমি একা  ভয়ে ভয়ে,
ওই কাফনের ভিতরে ডরে।

আসিল একক্ষণ 
ইমাম আসিল মোয়াজ্জিম আসিল 
মোরে সামনে সবার রাখিলো
যেন  কান্দন সুরে বলছে আমারি কথা,
ভাবিলাম এবার এরাই যাবে
ওই কবরের মাঝে ।

আল্লাহু আকবার বলে এবার
করিল মোরে ছাড়া ,
সালাম দিয়ে শেষ হলো জানাজা।

ওমা ,এ কি !
কিছু যাচ্ছে ঐদিকে ,
কিছু যাচ্ছে আমায় লয়ে,
ওই কবরের মাঝে ,
ভাবিলাম এবার সঙ্গী হবে ঐ দুঃখী দিনে ।

দুজনে মোরে রাখিলো কবরে 
আমি অধম কাতর ভয়ে ওমা !
এবার দেখি দিচ্ছে মাটি 
ভুলছে আমায় সবাই নাকি ?
কত গহীন কবরে একলা 
থাকিব নাকি একা ?

করিম রহিম ভাইরে আমার 
যাসনি তোরা আমায় ছেড়ে ,
কত আপন ছিলাম তোদের ,
কত কি করলাম তোদের 
ছেড়ে যাস না মোরে 
ওই কবরের মাঝে ।

এবার মোরে করিল সোজা 
অচেনা দুই ফেরেশতা 
বলিল মোরে ,রব কে তোমার ?
বলিল মোরে, দ্বীন কি তোমার?
বলিল মোরে ,উনি কে তোমার ?

ভীত আমি কন্ঠে ,
সকল ক্রোধ আমার তরে ।
এমন সময় আসিল কানে আজান  
স্বপন ভাঙ্গিলো  এবার ,
স্বপ্নে আমি বুঝিলাম তবে মৃত্যু কিছুটা 
জীবনভর প্রভু তোমার শুনিবো কথা ।।

       

Comments

  1. মৃত্যু সত্য জেনেও মন তাকে অনুভব করতে চায়না কারণ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ এত সহজ নয়

    ReplyDelete

Post a Comment

Popular posts from this blog

পিরোজপুর সদরের কিছু উল্লেখযোগ্য মজাদার খাবার ও খাবারের স্থানের নাম

১.আইচ পুরি ভান্ডার এর পুরি।দামুদার ব্রীজের ঠিক এক পাশেই ছোট্ট করে এই পুরির দোকান  । অনেক জায়গায় পুরি খেলেও এটাকে আপনার বেস্ট বলতে হবে কারন ডাল পুরিতে অনেক ডাল এবং আলু পুরিতে অনেক আলু দেয়।  সন্ধ্যার পর ভরপুর গরম গরম পুরি খাওয়ার লাইন‌ লাগে এই দোকানে । প্রতিটা পুরি মাত্র ৫ টাকা। যে পরিমাণ আলু,ডাল ‌ঠুসায় সেই তুলনায় দাম কমই বলা চলে।ট্রাই করতে পারেন কোন এক সন্ধ্যায় । ২.সিও অফিস, ডাচ বাংলা বুথের পাশের চায়ের দোকানের গরুর দুধের চা। ৩.জেলা পরিষদ সুপার মার্কেটে অবস্থিত ক্যাফে স্ট্রিট ফুড এর মালাই চা।পরিবেশন স্টাইল দারুন।দাম মাত্র ১৫ টাকা। ৪.দুলালের দধি ভান্ডারের রসগোল্লা, রসমালাই, দধি। ৫.ভাই ভাই মিস্টির দোকানের রসগোল্লা,দধি,রসমালাই। ৬.বেকুটিয়া ফেরিঘাটের রাস্তার পাশের ঝাল মুড়ি। ৭.পিরোজপুর পুরান বাসস্ট্যান্ডে খুলনা বাস কাউন্টারের পাশে দোকানের চিতই পিঠা।পিঠার সাথে মরিচ ভর্তা আর সরিষা ভর্তাটা জোশ লাগে। ৮.শেরে বাংলা মার্কেট এর বিপরীতে স্টার হোটেলে হট কফি। ৯.সিও অফিসের ওখানে ক্যাফে আল মদিনার চকলেট হট কফি,চকলেট কোল্ড কফি । দাম ৫০-৬০ টাকার মত লিখেছেন :জি,এম-আদল

পিরোজপুর জেলার দর্শনীয় স্থান সমূহ

    লিখেছেন : জি,এম-আদল পিরোজপুর বাংলাদেশের দক্ষিনাঞ্চলের একটি ঐতিহ্যবাহী জেলা।প্রকৃতি তার নিজ সাজে অপরুপ সৌন্দর্যে পিরোজপুর জেলাকে সাজিয়েছেন। নদীবিধৌত জেলা পিরোজপুরে রয়েছে সেরা কিছু দর্শনীয় স্থান।পিরোজপুর সদর, ইন্দুরকানি, নাজিরপুর, কাউখালী, ভান্ডারিয়া, মঠবাড়ীয়া, নেছারাবাদ এই সাতটি উপজেলা নিয়ে পিরোজপুর জেলা গঠিত। এই উপজেলাগুলোর প্রায় প্রতিটি উপজেলারই রয়েছে নিজস্ব ইতিহাস-ঐতিহ্য, রয়েছে বেশ কিছু দর্শনীয় স্থান।সেরা দর্শনীয় স্থানগুলোর মধ্যে ভাসমান পেয়ারা হাট, কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা,রায়েরকাঠি জমিদার বাড়ি,হরিনপালা রিভারভিউ ইকো পার্ক, ভান্ডারিয়া শিশু পার্ক,ভান্ডারিয়া মিয়া বাড়ি মসজিদ,মঠবাড়িয়ার মমিন মসজিদ, পিরোজপুর এর ডিসি পার্ক ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য।  ভাসমান পেয়ারা হাট : পিরোজপুর জেলার স্বরুপকাঠি উপজেলার আটঘর,কুরিয়ানা নামক জায়গায়  নৌকায় করে এই (Floating Market) ভাসমান পেয়ারা হাট বসে। কবি আহসান হাবিব এর পৈত্রিক ভিটা: কবি আহসান হাবীব একুশে পদক ও স্বাধীনতা পুরস্কারপ্রাপ্ত বাংলা ভাষার অন্যতম একজন খ্যাতনামা কবি।  আহসান হাবীব এর জন্ম ১৯১৭ সালের ২ জানুয়ারি,পিরোজপুর সদর...

পিরোজপুর জেলা নামকরণের ইতিহাস

পৃথিবী সৃষ্টির পিছনে যেমন ইতিহাস রয়েছে ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি দেশ,বিভাগ,জেলা ও এলাকা সৃষ্টির পিছনে রয়েছে হাজারো গল্প ও ইতিহাস। তেমনি পিরোজপুর জেলা সৃষ্টি ও নামকরণের পিছনেও রয়েছে নানা গল্প ও ইতিহাস। গবেষকদের মতে,আজকের এ পিরোজপুর সুলতানি আমলে বাকলা-চন্দ্রদ্বীপের অন্তর্ভুক্ত ছিল। এ অঞ্চল পরিচিতি ছিল ফিরোজপুর নামে। মোগল সম্রাট শাহসূজার অকাল প্রয়াত পুত্র ফিরোজশাহের নামে 'ফিরোজপুর' এবং পরে অপভ্রংশ হিসেবে 'পিরোজপুর' নামকরণ হয়েছে। নাজিরপুর উপজেলার শাখারী কাঠির জনৈক হেলালউদ্দীন মোঘল নিজেকে মোঘল বংশের শেষ বংশধর হিসেবে দাবী করেছিলেন। তাঁর মতে বাংলার সুবেদার শাহ্ সুজা আওরঙ্গজেবের সেনাপতি মীর জুমলার নিকট পরাজিত হয়ে বাংলার দক্ষিণ অঞ্চলে এসেছিলেন এবং আত্মগোপনের এক পর্যায় নলছিটি উপজেলার সুগন্ধা নদীর পারে একটি কেল্লা তৈরি করে কিছুকাল অবস্থান করেন। মীর জুমলার বাহিনী এখানেও হানা দেয় এবং শাহ্ সুজা তার দুই কন্যাসহ আরাকানে পালিয়ে যান। সেখানে তিনি অপর এক রাজার চক্রান্তে নিহত হন। পালিয়ে যাওয়ার সময় তার স্ত্রী  এক শিশু পুত্রসহ থেকে যায়। পরবর্তীতে তারা অবস্থান পরিবর্তন করে ধীরে ...