লিখেছেন :আরিফুল ইসলাম
জীবনের গল্পে শিক্ষক হলেন উজ্জ্বল তারকা।
হে আমার শিক্ষা গুরু;হে আমার পথ প্রদর্শক;
তোমরাতো মানুষ গড়ার কারিগর,
তোমাদের এ ঋণ,শোধ হবে না কোনদিন,
যতই করি গুণগান, সারাটি জীবনভর।
গরিব ঘরে জন্ম নেয়া ছেলে-মেয়েদের সাধারণত বেশিদূর পড়াশোনা করা চলে না,কোনমতে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপ্ত হলেই হলো।এরপর বেড়িয়ে পড়তে হয় কর্মসংস্থানে। যাকে বলা হয় "শিশু শ্রম "। আমাদের মতো গরিব ছেলে-মেয়েদের এটাই ভবিষ্যৎ। তবে এর থেকে যে বেঁচে যায়,এগিয়ে যায় পড়াশোনা নিয়ে,তার পেছনে থাকে তার শতভাগ চেষ্টা এবং কিছু মহান ব্যক্তিদের অবদান।আমার জীবনেও ঘটেছে এমনই ঘটনা।
আমি এখন অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। কিন্তু আমার এ পর্যন্ত আসার পেছনে রয়েছে আমার তীব্র ইচ্ছে এবং কিছু মহান ব্যক্তিদের অবদান। আমার সুখে-দুঃখে যিনি সব সময় পাশে ছিলেন,তিনি হলেন আমার জন্মদাত্রী জননী। অতঃপর যারা আমাকে বিভিন্নভাবে সাহায্য করছেন, তাঁরা হলেন প্রিয় শিক্ষকগণ।যাদের অনুপ্রেরণা ও সহযোগিতায় আজ আমি এতটা পথ আসতে পেরেছি, সেই সব মহান শিক্ষকগণ হলেন,রফিকুল ইসলাম, আব্দুল রাজ্জাক তালুকদার, আশিস কুমার বিশ্বাস, কাঞ্চন কুমার মজুমদার, মোঃ মুজিবুর রহমান মোল্লা, লাবণ্যময়ী হালদার,সুপ্তি মৃধা,রতন বাছার,সুচিত্রা বাকচী,শবরী বেপারী আর যার কথা না বললেই নয়,তিনি হলেন মরহুম সোহরাব হোসেন খান স্যার।আমার প্রাথমিক শিক্ষা জীবন থেকে শুরু করে কলেজ জীবন পর্যন্ত এই সব শিক্ষকগণ বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য করেছেন।কেউ টাকা-পয়সা আবার কেউ বই খাতা দিয়েছেন।
তবে আমার এ ছাত্রজীবনে সবচেয়ে বেশি যার অবদান,তিনি হলেন মরহুম সোহরাব হোসেন খান স্যার।
কপালগুণে প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ট্যালেন্টপুলে বৃত্তি পেয়েছিলাম, তবে তা দিয়ে যখন পড়াশোনার ব্যয়ভার বহন করতে পারছিলাম না,ঠিক তখনই উজ্জ্বল তারকা হয়ে এসেছিলেন তিনি,ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত, সর্বাত্মকভাবে সাহায্য -সহযোগিতা করেছেন। তাঁর অনুসারী অন্যান্য শিক্ষকেরাও এগিয়ে এসেছিলেন সে সময়।
তাই আমার ছাত্র জীবনে এ সব শিক্ষকদের অবদান কখনোই ভোলার নয়,তাদের সহযোগিতায় আজ আমি এতদূর আসতে পেরেছি। আমি কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি। আমার হ্নদয়ের মণিকোঠায় অমর স্মৃতি হয়ে থাকবেন এই মহান শিক্ষকগণ,উজ্জ্বল তারকা হয়ে।
Comments
Post a Comment