কাউখালী পিরোজপুর জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সবচেয়ে ছোট উপজেলা। নদী বিধৌত এলাকা হওয়ার কারনে নদী কেন্দ্রিক হাট - বাজার ও ব্যবসার প্রচলন সেই প্রাচীন আমল থেকেই। এই অঞ্চলেরর নামকরণে ও প্রভাব রয়েছে ব্যবসা ও ব্যবসায়ীর।
১৮৭৩ খ্রিষ্টাব্দের ২৫ জুন লন্ডনের কমন্স সভায় লবন রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, আর্মেনিয়ার অধিবাসী জনৈক খাজা কাওয়ার্ক নামের জনৈক ব্যবসায়ী ১৭৭৩ খ্রিষ্টাব্দে পরগনার লবণ শিল্পের মালিক ছিলেন। স্হানীয় জনগন খাজা কাওয়ার্কে 'কাও' সাহেব বলে সম্বোধন করতেন। এই কাও সাহেবের নামের ভিত্তিতে এলাকাটির নাম কাউখালী হয়েছে বলে ধারণা করা হয়। এছাড়াও এ অঞ্চলে এক সময় ব্যাপক কাউগাছ ছিলো। জনশ্রুতি আছে, এই কাউ গাছের নাম থেকে এলাকার নাম কাউখালী হয়েছে। অথবা কাক বা কাউয়ার অবাধ বিচরন ছিলো কাউখালীর চরাঞ্চলে। তা থেকেও কাউখালী নামের উৎপত্তি হতে পারে বলে স্হানীয় জনসাধারণ বিশ্বাস করে।
কাউখালী উপজেলার মোট আয়তন ৭৯.৬৫ বর্গকিলোমিটার বা ৩০.৭৫ বর্গমাইল। লোক সংখ্যা ৭০,১৩০ জন।পুরুষ ৩৪,৮৯৩ জন মহিলা ৩৫,২৩৭ জন। মুসলমান ৮১.৩৫% হিন্দু ১৮.৫৯% অন্যান্য ০.০৬%( ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুযায়ী)।
এর উত্তরে নেছারাবাদ উপজেলা, দক্ষিণে রাজাপুর উপজেলা (ঝালকাঠি) ও ভাণ্ডারিয়া উপজেলা, পূর্বে ঝালকাঠি জেলা ও পশ্চিমে পিরোজপুর সদর উপজেলা ও নাজিরপুর উপজেলা।
১৭৯০ খ্রিষ্টাব্দে কাউখালীতে থানা স্হাপিত হয়। প্রশাসনিক থানা সৃষ্টি হয় ১৯১২ খ্রিষ্টাব্দে।কাউখালী থানাকে ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে উপজেলা উন্নীত করা হয়।
লিখেছেন : সিরাজুম মুনিরা
Comments
Post a Comment