আজ শৈশবের স্মৃতিতে যাই মাকে হাড়িয়েছি ১৯৬১ সালের নভেম্বরে তখন আমার বয়স আর কত১০/১১ মাস।কিছুই তার স্মৃতি মনে নেই।আজও তার ছবি বুকে জড়িয়ে নীরবে কাঁদি।ছবিটি রেখছিল দাদী। আমাকে দিয়ে বলেছিল, নে তোর মায়ের ছবি।দেখিস নাইতো।সে দিন কিছু বুঝি নাই। মা কি? দাদীই সব।সকল চাওয়া পাওয়ার স্থান।তাকে হাড়ালাম ১৯৯০ সালে।যার আদর আর স্নেহমাখা ভালবাসা পেয়েছিলাম সেই দাদা হাড়াতে হয়েছে শৈশবেই তখন সবে মাত্র ১ম শ্রেনী থেকে ২য় শ্রেনীতে উঠছিলাম ১৯৬৮ সালের ২১ফেব্রুয়ারীর সকাল বেলা।স্কুল থেকে কেঁদে বাড়ি ফেরা। বাবার মার খেয়ে সেই যে স্কুলে যাওয়া আর কোন দিন স্কুল কামাই দেই নি লেখা পড়ার জীবনে।সে দিন বাবাকে দাদী কি যে বকেছিল আজও মনে পড়লে কান্না আসে।সে দিন বুঝতে পারি নি দাদীর ভালবাসার কথা।মায়ের মৃত্যুর ৫ বছর পর বাবা আবার বিয়ে করেছিলেন।সে বিয়ে বর যাত্রী হয়ে নানা বাড়ি গিয়েছিলাম। বাবা কোথায় থাকত? কি করত? কিছুই জানা ছিল না।সেই বাবাকে হাড়ালাম ২০০৬ সালে যে দিন শিক্ষক আন্দোলনে লঞ্চে ঢাকা যাচ্ছিলাম।যখন লঞ্চ মুন্সীগঞ্জ পৌছে মাত্র সকাল ৬ টায় মোবাইলে খবর পাই।দিশেহারা হয়ে কিছুক্ষন নীরবে কেঁদে সভাপতি ফজলুল হক স্যার জানিয়ে ঢাকা থেকে একাই ফিরেছিলাম বিকেলে। বাবার অনেক স্মৃতি মনকে কাঁদায়।বাবা অস্বাভাবিক মৃত্যুকে খুব সহজে মেনে নিতে পারি নি আজও।তবুও তার মেম্বর জীবনের অনেক কাজের কালের স্বাক্ষী আমি। তাই তার কিছু কাজ এখনও আমি কাজ করে যাই অলক্ষ্যে।
লিখেছেন: এইচ এম আকরামুল ইসলাম
প্রধান শিক্ষক,তুষখালী আদর্শ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়।
প্রতিষ্ঠতা অধ্যক্ষ,ফুলঝুড়ি মহিলা টেকনিক্যাল & বি,এম কলেজ।
Comments
Post a Comment