১৯৪৬ সালে ঐতিহাসিক নির্বাচনে গনতন্রের মানষ পুত্র জনাব হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মনোনীত প্রার্থী হিসাবে আমার দাদা বিশিষ্ট আইনজীবি,পিরোজপুর আওয়ামীলীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মরহুম আঃছোবাহান পিরোজপুর সদরে এম পি প্রার্থী,দক্ষিণ অঞ্চলে তখন আলাদা একটা গুরুত্ব থাকায় কলকাতা ইসলামিয়া কলেজের জি এস, ছাত্র ফেডারেশন এর নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি বহর নিয়ে পিরোজপুর আসেন,নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে ২১দিন আমাদের বাড়িতে অবস্হান করেন,দক্ষিণ জনপদে সকল এলাকায় সফর করে নির্বাচনী জনসভা করেন,গনতন্ত্রের মানষ পুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী সাহেব ও গুরুত্বপূর্ণ জনসভা গুলিতে অংশগ্রহণ করেন,তখনকার সময় উল্লেখযোগ্য দুটি ঘটনা ঘটে পাড়েরহাট ও ভান্ডারিয়া জনসভা সফল করতে গিয়ে যেমন পাড়েরহাটে বড় ধরনের গন্ডগোল হয় সেখানে বঙ্গবন্ধু সামনে থেকে গন্ডগোল সামাল দিতে গিয়ে কম বেশী আহত হন পরবর্তীতে জনসভা শেষে তারা পাড়েরহাটে নুরু খানের বাড়িতে কর্মী দের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করেন।ভান্ডারিয়া তখন প্রার্থী ছিলেন মরহুম আফতাব উদ্দিন আহমেদ (পিরোজপুর পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান,৯নং সেক্টরের সাব সেক্টর কমান্ডার, বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম মেজর জিয়াউদ্দিনের পিতা)সেখানেও গনতন্ত্রের মানষ পুত্র হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী ও(ছাত্রনেতা) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জনসভা করেন সেই থেকে এই জনপদে মুখে মুখে একটা কথা প্রচলিত হয় ভান্ডারিয়া মানে কুফা নগর.....সকল নির্বাচনি কর্মকাণ্ড শেষে এই শ্বেত পাথরের ডাইনিং টেবিলে আপ্যায়ন করা হতো আমাদের বাড়িতে।
স্বাধীনতার স্হপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জম্ম শতবর্ষ সফল হোক,আমাদের বাড়ির(ছোবাহান মঞ্জিল) হলরুমে বিভিন্ন সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও অনেক জাতীয় নেতৃবৃন্দ পিরোজপুর আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের নিয়ে সভা ও আলোচনায় মিলিত হতেন।এই টেবিল,এই বাড়ি, এই হলরুম তার সৃতি বহন করে।বন্ধুবর কিছু সাংবাদিক দের সাথে বঙ্গবন্ধু ও অন্যান্য জাতীয় নেতৃবৃন্দের টেলিগ্রাম ও চিঠি নিয়ে মতবিনিময়...আমি ও আমার ভাই এডিশনাল ডিআইজি এহেসান।
লিখেছেন:
সাদউল্লাহ লিটন
Comments
Post a Comment