শীতের আগামনে মা শীতের কাপড় ও গায়ের খাতার টিনের ট্রাংক উঠানে নামাতে বললেন, রোদরে গরম করবেন। মায়ের কথা শুনে আমার শরীর থর থর করে কাপছে, কারণ ট্রাংকে ছোট কৌটার মধ্যে ৪ বোন সহ মায়ের কানের দুল। মায়েরটা ব্যাতিরেকে ৪ বোনের ছোট দুল এক এক করে কবেই বিক্রি করে দিয়েছি। ১৯৬৯ইং আাউব বিরোধী আন্দোলন সংগ্রাম সহ শহীদ মিনার নির্মান, মশাল মিছিল বা বিভিন্ন হাই স্কুলে কর্মী সভার কর্মসূচী সহ না না বিঁধো টাকার যখনই দরকার হতো বন্ধু মনোজ কর্ম কারের সরান পন্ন হতাম,তার কাছেই বিক্রি আজ এক জোরা আবার প্রয়োজনে ৩/৪ মাস পরে আর এক জোরা, এমনি ভাবে। সাং গোপনে বিক্রি, তাই সেও আমাকে সঠিক মুল্য দিত না,অর্থাত সুযোগে বাটপারি। মা আমার আজ বেঁচে নেই, আমার বড় বোন সহ সবাই আজ-ও আমার পাশে। আরো মনে পরে ১৯৭৪ সালে বাজারের বাসার পিছনে গুনার উপরে কাপড় চোপড় সুকাতো কিন্তু সুকাবার আগেই আমার দুই বোন আনোয়ারা মনোয়ারা, তাদের রুমের মধ্যে আমার ভয়ে নিয়ে নিত কারন, সে-সময় দেশে দুর্ভিক্ষ মানুষের খাবার সহ কাপড় চোপড়ের অভান।সৃতি তে গাঁথা না বলা কথা, মায়ের কথা বা বোনদের সাথে দেখা হলেই হৃদয়ে নাড়া দেয় সে না বলা।
লিখেছেন : এমাদুল হক খান
একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা
Comments
Post a Comment