সুখরঞ্জন বাবু একজন কৃষক। বসত ভিটা লাগোয়া ৫৭ শতক জমি ক্রয়সূত্রে মালিক। পানেরবরজ, সবজি, ফলদ ও কাষ্ঠল বৃক্ষের মাধ্যমে পঁচিশ বছরের নিরবিচ্ছিন্ন ভোগদখল। নিজ নামে বিএস রেকর্ডও বিদ্যমান।
এ পর্যন্ত ঠিক সব ঠিক আছে।
সুখরঞ্জনের প্রতিবেশী এক ভদ্রলোক ১৯৯৪ সালে দেওয়ানি আদালত থেকে বিবাদমান জমি নিজ নামে একতরফাসূত্রে আংশিক ডিক্রি প্রাপ্ত হন। কিন্তু নিজ নামে রেকর্ড করাননি। আসলে রেকর্ড হওয়ার শক্ত গ্রাউন্ডও নেই। কেটে গেছে ২৫/২৬ বছর।
এতবছর পর কোন এক উকিলের পরামর্শে ২৫ বছর আগের আংশিক ডিক্রি বলে বর্তমান বিএস রেকর্ডের মালিক ও ভোগদখলকার সুখরঞ্জনকে তার জমিতে যেতে বাঁধা দিচ্ছে। দুই পরিবারে মারামারি, কাটাকাটি। চিরাচরিত গ্রামীণ জমিজমার গিট্টু।
বরাবরের মতো স্হানীয় শালিস, মাতুব্বর, জনপ্রতিনিধি। পক্ষ-বিপক্ষ, স্বার্থ-দ্বন্দ্ব।
ফলাফল গিট্টু আরো লাগছে।
ইতোমধ্যে সুখরঞ্জন ডিক্রি বাতিলের মামলা করছে।
প্রতিবেশী রেকর্ড বাতিলের মামলা করছে।
আমাদের আইনী সমাধান:
বর্তমানে সর্বশেষ রেকর্ডের মালিক সুখরঞ্জন। জমি সুখরঞ্জনের দখলে আছে। আংশিক একটি ডিক্রী দিয়ে আদালতের নির্দেশনা ব্যতিত সুখরঞ্জনকে দখল থেকে নিজেরা জোর করে উচ্ছেদ করা যাবেনা। নিরবিচ্ছিন্ন ভোগদখলে তাকে বাধা দেওয়া যাবেনা।
দেওয়ানি আদালত থেকে সর্বশেষ সিদ্ধান্ত যার পক্ষে এবং যেভাবে আসবে সেমতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
ততদিন পর্যন্ত বিবাদমান জমি বরাবরের মতো সুখরঞ্জন ভোগদখল করবেন।
বি. দ্র. যে আইনজীবী ভদ্রলোকের পরামর্শে আংশিক ডিক্রী লাভের ২৫ বছর পরে সুখরঞ্জনের প্রতিবেশী তাকে এ হয়রানীর মধ্যে ফেললেন, তিনিও কিন্তু এ আইনী ব্যাখ্যা জানেন। নিজে সুখরঞ্জন হলে তিনি কি পরামর্শ দিতেন জানতে ইচ্ছে করে।
মহান আল্লাহ আমাদের সহায় হোন। আমার ইউএনও স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা। স্যার নিজে উপস্হিত থেকে এ সমস্যা সমাধানে সহায়তা করেছেন।
সুবিদপুর,শিয়ালকাঠি,কাউখালী।
সংগ্রহিত: শেখ রফিকুল হক, এসিল্যান্ড কাউখালী, পিরোজপুর এর ফেসবুক থেকে।
Comments
Post a Comment